প্যারালাইসিস: কারণ, প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা
প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাত হলো শরীরের কোনো অংশের মাংসপেশীর কর্মক্ষমতা হারানোর অবস্থা। এটি মাংসপেশীর কার্যকারিতা বন্ধ করে দেয়, ফলে রোগী ঐ অংশ নাড়ানোর সক্ষমতা হারায়।
এমনকি অনেক সময় সেই অংশের বোধশক্তিও চলে যায়। প্যারালাইসিস যেকোনো বয়সে এবং বিভিন্ন কারণে হতে পারে, তাই এ ব্যাপারে সচেতন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্যারালাইসিসের প্রধান কারণ
প্যারালাইসিসের মূল কারণ হলো স্নায়ু বা নার্ভাস সিস্টেম অকেজো হয়ে যাওয়া। স্নায়ু মাংসপেশীতে বৈদ্যুতিক সংকেত প্রেরণ করে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সচল রাখে। স্নায়ু অকেজো হলে প্যারালাইসিস দেখা দেয়।
উল্লেখযোগ্য কারণগুলো:
- ব্রেইন স্ট্রোক
- স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি
- নার্ভ ইনজুরি
- এমায়োট্রফিক লেটারাল স্ক্লেরোসিস
- বটুলিজম (টক্সিসিটি)
- মাসকুলার ডিসট্রফি
- শিশুদের ক্ষেত্রে পলিও এবং সেরিব্রাল পলসি
প্রতিরোধ এবং সতর্কতা
প্যারালাইসিস প্রতিরোধের জন্য উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, এবং ধূমপান নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। খাদ্য তালিকা থেকে অতিরিক্ত চর্বি ও ফাস্ট ফুড বাদ দিয়ে সুষম খাবার খেতে হবে।
নিয়মিত হাঁটাহাঁটি, গোসল, এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্যই পলিও টিকা দিতে হবে।
রিহেব-ফিজিও চিকিৎসার ভূমিকা
প্যারালাইসিস চিকিৎসার ক্ষেত্রে একিউট (ক্ষণস্থায়ী) এবং ক্রনিক (দীর্ঘস্থায়ী) ধাপে চিকিৎসা করা হয়। একিউট স্টেজে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ক্রনিক স্টেজে ঔষধের পাশাপাশি রিহেব-ফিজিও চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে পুনর্বাসন সম্ভব। এই চিকিৎসার মাধ্যমে:
- কৌশলগত ব্যায়াম
- ইলেকট্রোথেরাপি
- অর্থোসিস বা প্রসথেসিস
স্ট্রোক প্রতিরোধে সচেতনতা
স্ট্রোক প্রতিরোধে উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ধূমপান, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার এবং মাদক দ্রব্য পরিহার করতে হবে।
সুষম খাবার খাওয়া, নিয়মিত হাঁটা এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
যোগাযোগ
ডা. মো: সফিউল্যাহ্ প্রধান
পেইন প্যারালাইসিস ও রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ
ডিপিআরসি হাসপাতাল লি. (১২/১ রিং-রোড, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭)
শ্যামলী ক্লাব মাঠ সমবায় বাজারের উল্টো দিকে
সিরিয়ালের জন্য ফোন: ০১৯৯-৭৭০২০০১-২ অথবা ০৯৬৬৬৭৭৪৪১১