আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা: ওজন কমানো থেকে ত্বকের যত্নে

মানুষ স্থূলতা কমাতে কঠোর পরিশ্রম করে, তবুও তাদের ওজন কমে না। তবে আম খেলে স্থূলতা কমানো যায় সহজেই।

আমের খাদ্যগুণাগুণ এবং স্বাস্থ্যের জন্য এর উপকারিতা অনেক। অনেক ডায়েটিশিয়ানও আমকে ওজন কমানোর ওষুধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, কারণ এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আমের গুঁড়িতে উপস্থিত দ্রবণীয় ফাইবার এবং চর্বি শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি কমাতে খুবই সহায়ক।

আমের উপকারিতা:

  1. ওজন কমাতে সহায়ক: আমের রহস্য লুকিয়ে আছে এর গুঁড়িতে। আমের কার্নেলে দ্রবণীয় ফাইবার এবং চর্বি থাকে, যা শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সহায়ক। আম খেলে ক্ষুধা কমে যায় এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি বার্ন হয়। আমে লেপটিন নামক রাসায়নিক থাকে যা ক্ষুধা কমায়।
  2. কম কোলেস্টেরল: কম কোলেস্টেরল আমে পাওয়া যায়। এতে পাওয়া এডিপোনেক্টিন কোলেস্টেরল কমায় এবং ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়ায়, যার ফলে অতিরিক্ত চর্বি আপনা-আপনি শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
  3. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: আম খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
  4. হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে: কাঁচা আম খেলে আমাদের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায় এবং ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
  5. ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: কাঁচা আম আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় বলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক নরম, কোমল ও দাগমুক্ত হয়।
  6. শরীরে পানির অভাব পূরণ করে: আম খেলে আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পূরণ হয়। শরীর পানিশূন্য হয় না এবং এই গ্রীষ্মের মৌসুমে আমাদের শরীর সানস্ট্রোকের সমস্যা থেকে মুক্তি পায়। কাঁচা আমের জমে থাকা শরীরেও শীতলতা নিয়ে আসে।
  7. দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়ক: আমের খাবার আমাদের চোখের জন্যও সবচেয়ে ভালো। আমে অতিরিক্ত ভিটামিন এ খেলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং চোখের সমস্যা দূর করতে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

 

ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান
বাত ব্যথা প্যারালাইসিস পঙ্গুত্ব আর্থ্রাইটিসে রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ
সহযোগী অধ্যাপক , আইআইএইসএস ও কনসালটেন্ট ,ডিপিআরসি
ফোনঃ 09666774411

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12/1 Ring Road, Shyamoli, Dhaka

09666 77 44 11

dprchospital@dprcbd.com