স্ট্রোকের কারণ ও চিকিৎসা
স্ট্রোক বা ব্রেন অ্যাটাক মস্তিষ্কে হঠাৎ করে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া বা মাথার ভেতরে রক্তক্ষরণের কারণে হয়ে থাকে। প্রতিটি মস্তিষ্কের কোষগুলিকে কাজ করা বন্ধ করতে বা মারা যেতে পারে। যখন মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষগুলি মারা যায়, তখন তাদের নিয়ন্ত্রণ করা শরীরের অঙ্গগুলির কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা হারিয়ে যায়। ফলে সেই শরীরের আক্রান্ত অংশের সঙ্গে মস্তিষ্কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। একে করে সেই অংশ অবশ হয় এবং নড়াচড়ায় অক্ষম হয়ে যায়। ঠিক কোন কোন কারণে এই রোগ হয়ে থাকে তা হয়তো অনেকেই জানেন না।
স্ট্রোকের কারণ:
এটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দিয়ে আসছে শ্যামলীর ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (ডিপিআরসি)। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ডিপিআরসির বাত-ব্যথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান। তার পরামর্শ হুবহু তুলে ধরা হলো:
- স্ট্রোকের সাথে অনেকে হার্ট অ্যাটাক মিলিয়ে ফেলে।
- মস্তিষ্কে হঠাৎ করে রক্তপ্রবাহের যদি কোন প্রবলেম হয়, তাহলে এমন সমস্যা হতে পারে।
- মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ কাজ করে থাকে; কোন অংশের কাজ প্রভাবিত হলে সমস্যা হয়।
- স্ট্রোক হওয়ার কারণে মুখে লালা আসতে পারে, প্রমুখ শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
স্ট্রোক হওয়ার কারণ:
স্ট্রোকের মূল কারণগুলো হল:
- হৃদরোগ: উচ্চরক্তচাপ, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিস।
- নেশাজাতীয় দ্রব্যের দীর্ঘদিন ব্যবহার: অ্যালকোহল, ধূমপান, নেশাগ্রস্ত জীবনযাপন।
- মানসিক চাপ এবং অবশীল ঘুম না হওয়া।
স্ট্রোকের চিকিৎসা:
স্ট্রোকের চিকিৎসার জন্য দেরি না করে সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিতে হবে:
- রক্তচাপ মেইনটেইন করতে হবে।
- স্ট্রোকের প্রাথমিক উপসর্গ জানা ও দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ।
চিকিৎসা শুরু করলে, মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষ আবার কাজ করতে পারে এবং পুনর্বাসন চিকিৎসা খুব সহায়ক।
স্ট্রোকের পর পুনর্বাসন চিকিৎসা:
স্ট্রোকের পর রোগীদের ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে পুনর্বাসন করা যেতে পারে। রোগীরা কয়েক মাসের মধ্যে পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন।
এছাড়াও, রোগীদের জন্য নিয়ন্ত্রিত চিকিৎসা, ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের গুরুত্ব রয়েছে।